জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, পতিত
আওয়ামীলীগ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সর্বক্ষেত্রে নির্লজ্জ দলীয়করণ করেছিল। এই অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে নিবেদিক প্রাণ ছিলেন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এম. সাইফুর রহমান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যা উন্নয়ন হয়েছে সবই সাইফুর রহমান করেছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার তার নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
এম. সাইফুর রহমান কলেজটি শুধুমাত্র নামের কারনে এতদিন অবহেলিত ছিল। সরকারীকরণ তো দূরের কথা কলেজের মৌলিক কোন উন্নয়নও হয়নি। শুধুমাত্র নামের কারনেই বিগত ১৭ বছর এই কলেজটি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এখন স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এই কলেজটি আর অবেহেলিত থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
রোববার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের নবগঠিত গভর্নিং বডির অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী কণ্ঠরোধ ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল, যা জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার পরিপন্থী। তারা পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহার বিকৃতি করেছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্ঠা করেছি। কিন্তু প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মেই পরিচালিত হয়। আজ ফ্যাসিবাদ ইতিহাসের
আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এখন সময় এসেছে আমার সন্তানদেরকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- নুরজাহান কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মদন মোহন কলেজের শিক্ষক পারিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক লে. মো:মনিরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী সিকন্দর আলী, বর্তমান সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর, এডভোকেট বুরহান উদ্দিন খন্দকার, উপজেলা জামাতের আমীর ফয়জুর রহমান, সাবেক আমির আজমান আলী, বিএনপি নেতা আব্দুল মন্নাফ, নজির আহমদ, আলী আহমদ, কলেজের অভিভাবক সদস্য জুয়েল আলম, আজিজুল হক, ওমর ফারুক, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুর রাশীদ, শামীম আরা বেগম প্রমুখ।